জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে চকলেটের লোভ দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের
ও তিন মাসের অন্তসত্তার অভিযোগ উঠেছে রবিউলের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা সোবেদা খাতুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলেয়া বেগম (ছদ্মনাম) (৩০) জন্মের পর থেকেই মানষিক প্রতিবন্ধী। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাধে আব্দুস সালাম মিনুর ছেলে আসামী রবিউল ইসলাম (৩০) তাদের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতো।
গত ২২ মার্চ বিকেলে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে মহিষখোচা ইউনিয়নের ইসলামাবাদ জামে মসজিদের পিছনে বুলু মিয়ার ফাকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে এ বিষয়ে কাউকে বলতেও নিষেধ করে।
পরবর্তী বিভিন্ন যায়গায় কৌশলে খাবারের লোভ দেখিয়ে আরও ৪/৫ দিন ধর্ষণ করে এবং কাউকে বলতে নিষেধ করে হুমকি দেয়।
এর মধ্যে কিছুদিন থেকে তার চালচলনে পরিবর্তন দেখলে তার মা ও প্রতিবেশী মহিলারা তাকে জিজ্ঞেদ করলে এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী তাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা সোবেদা খাতুন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। প্রতিবন্ধী মেয়ে হওয়ার তার বিয়েও দিতে পারিনাই। কোনরকমে খেয়ে পরে জীবন চালাই। আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশকারীর শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগীর ভাই শহিদার রহমান বলেন, আমার বোন এলাকায় সবাই পাগলি হিসেবেই জানে। সে কিছুই বুঝেনা। তার এই সুযোগ নিয়ে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।
এ সময় অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগে চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ডাক্তারি পরীক্ষা করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দির ব্যবস্থা করা হবে। আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।